Home Sport News মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেন ব্রণ হয়?

মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেন ব্রণ হয়?

55
0
মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেন ব্রণ হয়?

ব্রণ ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে। মুখের ব্রণ নিয়ে কমবেশি সবাই দুশ্চিন্তায় থাকেন। শুধু মুখেই কেন শরীরের বিভিন্ন স্থানেও ব্রণ দেখা যায় অনেক সময়। কারও নাকের উপর, কারও আবার চোয়ালে, ঘাড়ে, বুকে, পিঠে কিংবা হাঁটুতে।

তবে শরীরের কোন স্থানে ঠিক কী কারণে ব্রণ হচ্ছে সে বিষয়ে হয়তো অনেকেরই ধারণা নেই। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক শরীরের কোন অংশের ব্রণ কোন সমস্যার ইঙ্গিত দেয়-

নাকের উপর

নাকের ত্বকের ছিদ্রগুলো সাধারণত বড় হয়। ফলে ময়লা বা ব্যাকটেরিয়া সহজেই আটকে থাকে। আবার নাকের ত্বকও বেশি তৈলাক্ত হওয়ায় সেখানে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

ডায়েট, স্ট্রেস ও কিছু ওষুধের কারণেও নাকে ব্রণ হতে পারে। কখনো কখনো এটি আরও গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। এক্ষেত্রে টি ট্রি অয়েল যোগ ব্যবহার করুন।

কপালে

চুল তৈলাক্ত হলে কপালে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এজন্য চুল নিয়মিত শ্যাম্পু করতে হবে। পোমেড, জেল ও মোমযুক্ত প্রসাধনীতে কোকো বাটার বা নারকেল তেল থাকে যা পরে ত্বককে অতিরিক্ত তৈলাক্ত করে দেয়। এসব ব্যবহারেও সতর্ক থাকুন।

মুখে

মুখে কমবেশি সবাই ব্রণের সমস্যায় ভোগেন। মুখের ত্বক অনেক সংবেদনশীল হওয়ায় ঘন ঘন স্পর্শ করার কারণেও ব্রণের সৃষ্টি হতে পারে। মুখের ত্বক ব্রণ হয় মূলত হরমোন ও জেনেটিক্সের কারণে।

তবে যদি প্রায়ই ত্বকে ব্রণের সমস্যায় ভোগেন তাহলে অবশ্যই একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। এর পাশাপাশি দিনে দুবার মৃদু বা হালকা ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন, নন-কমেডোজেনিক ও অয়েল ফ্রি প্রসাধনী ব্যবহার করুন।

আরও পড়ুন

চোয়াল ও ঘাড়

হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে অ্যান্ড্রোজেন বেড়ে গেলে চোয়াল ও ঘাড়ে ব্রণ হতে পারে। বেশিরভাগ নারীর ক্ষেত্রে এটি মাসিকচক্রের সময় ওঠানামার কারণে হয়। আবার জন্মনিয়ন্ত্রণের মতো ওষুধ খাওয়ার কারণেও এটি হতে পারে।

গালে

গালে ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো ফোন ব্যবহার করা। ফোনে কথোপকথনের মাধ্যমে গালের ত্বকে ব্যাকটেরিয়া ছড়ায়, ফলে ব্রণের সৃষ্টি হয়। এছাড়া নোংরা বালিশ ও চাদরে থাকা বিভিন্ন জীবাণুও গালের ব্রণের কারণ হতে পারে।

পিঠে

পিঠের ব্রণ হওয়ার কারণ হতে পারে বডি ক্রিম, ম্যাসাজ অয়েল বা ওয়াক্সের অ্যালার্জি কারণে। আবার অতিরিক্ত ঘামের কারণেও হতে পারে। ঘাম, ত্বকে তেল ও বিষাক্ত পদার্থ একসঙ্গে মিশে লোমকূপের ছিদ্র বন্ধ করে দেয়।

ফলে ব্রণ হতে পারে। অনেকেই আবার গোসলের সময় ভালোভাবে পিঠ পরিষ্কার করেন না। এ কারণে পিঠের ব্রণ বাড়তে থাকে। এছাড়া নোংরা জামাকাপড়, কম্বল, বিছানার চাদর, খুব আঁটসাঁট পোশাকের কারণেও পিঠে ব্রণ হতে পারে।

পায়ে

ব্যাকটেরিয়া, সিবাম ও ত্বকের মৃত কোষ লোমকূপে আটকা পড়ে। ফলে ত্বকের ছিদ্র আটকে ব্রণের সৃষ্টি হয়। অপরিষ্কার পা ও দীর্ঘক্ষণ একই জুতা পরে থাকার কারণে পায়ে ব্রণ হতে পারে।

এছাড়া ফলিকুলাইটিস, একজিমা বা কেরাটোসিস পিলারিসের মতো সমস্যার কারণেও পায়ে ব্রণ হতে পারে। তবে ব্রণে যদি চুলকানি বা ব্যথা হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বুকে

খুব আঁটসাঁট পোশাক পরার কারণেই বেশিরভাগ সময় বুকে ব্রণ হতে পারে। আবার কিছু নির্দিষ্ট বডি লোশন ব্যবহারের ফলেও বুকে ব্রণ হতে পারে।

সূত্র: ব্রাইট সাইড

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here