20.6 C
New York

মার্কিনদের পতন হয়নি, তবে ট্রাম্প ফিরলে কি হবে বলা যায় না

Published:

প্রথমটি হলো, ভৌগোলিক সুবিধা। যুক্তরাষ্ট্র দুটি মহাসাগর এবং দুটি বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দ্বারা বেষ্টিত। অন্যদিকে, চীন ১৪টি দেশের সঙ্গে একটি সীমান্ত শেয়ার করছে। দেশটি ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে আঞ্চলিক বিরোধেও জড়িত।

দ্বিতীয়টি হলো, আপেক্ষিক দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র জ্বালানি শক্তিতে স্বনির্ভর; যেখানে চীন আমদানির ওপর নির্ভরশীল।

তৃতীয়টি হলো, যুক্তরাষ্ট্র তার বৃহৎ আন্তর্দেশীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ডলারের আন্তর্জাতিক ভূমিকা থেকে শক্তি অর্জন করে। একটি আস্থাযোগ্য রিজার্ভ মুদ্রার অবশ্যই অবাধ রূপান্তরযোগ্যতা থাকতে হয়; সেই রিজার্ভের পুঁজিবাজার এবং আইনের শাসনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক থাকতে হয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের আছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে চীনের খামতি রয়েছে।

চতুর্থটি হলো, যুক্তরাষ্ট্রের একটি আপেক্ষিক জনসংখ্যাগত সুবিধা রয়েছে। দেশটি বর্তমানে বিশ্ব জনসংখ্যা র‌্যাঙ্কিংয়ে তার স্থান (তৃতীয়) ধরে রাখতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্বের ১৫টি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে সাতটিই আগামী দশকে সংকুচিত শ্রমশক্তি হিসেবে পরিণত হবে। কিন্তু মার্কিন কর্মশক্তি বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর অন্যদিকে চীন শ্রমশক্তির শীর্ষে ছিল সেই ২০১৪ সালে।

পঞ্চম সুবিধাটি হলো, আমেরিকা অনেক আগে থেকেই মূল প্রযুক্তিতে (জৈব, ন্যানো, তথ্য) এগিয়ে আছে। চীন গবেষণা ও উন্নয়নে প্রচুর বিনিয়োগ করছে। দেশটি এখন পেটেন্টের ক্ষেত্রে ভালো স্কোর করেছে। কিন্তু তার নিজস্ব পরিমণ্ডলে নিজের গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো মার্কিন প্রতিষ্ঠানের অনেক পেছনে রয়েছে।

সর্বশেষ সুবিধা হলো, আন্তর্জাতিক জরিপ অনুযায়ী, সফট পাওয়ার দিয়ে বাকি বিশ্বকে আকর্ষণ করার ক্ষেত্রে আমেরিকা চীনকে অনেকে পেছনে ফেলে রেখেছে। এসবের আলোকে বলা যায়, একবিংশ শতাব্দীর পরাশক্তির প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের হাত এখনো শক্তিশালী রয়েছে। কিন্তু আমেরিকানরা যদি চীনের উত্থান সম্পর্কে হিস্টিরিয়ায় ভোগে কিংবা নিজের ‘শিখর’ নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তার কার্ড খারাপভাবে খেলতে পারে।

Related articles

Recent articles

spot_img