25.1 C
New York

মহানবী (সা.)–এর মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত তাঁর পাশে ছিলেন যিনি

Published:

একবার আয়েশা (রা.) রাসুল (সা.)–এর সফরসঙ্গী ছিলেন। চলার পথে রাসুল (সা.) আয়েশা (রা.)–কে বললেন, ‘এসো, আমরা দৌড় প্রতিযোগিতা করি।’ প্রতিযোগিতায় জয়ী হন আয়েশা (রা.)। এর কিছুদিন পর আবার তাঁরা দুজন দৌড় প্রতিযোগিতা করেন। সেদিন রাসুল (সা.) জয়ী হন। রাসুল (সা.) মজা করে বললেন, ‘এটা হলো ওই দিনের প্রতিশোধ।’ (আবু দাউদ)

রাসুল (সা.) আর আয়েশা (রা.) একই পাত্রে খাবার খেতেন। দুজন গ্লাসের একই দিকে মুখ লাগিয়ে পানি পান করতেন।

উরওয়া (র.) বলেন, ‘আমি চিকিৎসাবিজ্ঞানে আয়েশা (রা.)–র চেয়ে দক্ষ কাউকে দেখিনি। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘খালা, আপনি এই জ্ঞান কোত্থেকে পেলেন?’ তিনি বললেন, ‘আমি মানুষকে রোগীর চিকিৎসা করতে দেখে তা মনে রেখেছি।’

আয়েশা (রা.)–এর জ্ঞানের পরিধি ও গভীরতা ছিল অতুলনীয়। তাঁর ছিল গভীর অন্তর্দৃষ্টি এবং তা প্রকাশের দক্ষতা। ইসলামের তাৎপর্য বিষয়ে গভীর জ্ঞান নিয়ে তিনি সুন্দর পর্যালোচনা করতেন।

আয়েশা (রা.) প্রতি বছর হজে যেতেন। হেরা ও সাবির পর্বতের মাঝখানে তাঁর তাঁবু স্থাপন করা হতো। দূরদূরান্তের জ্ঞানপিপাসুরা সেই তাঁবুর পাশে ভিড় জমাতেন। তিনি তাঁদের যেকোনো ধরনের প্রশ্ন করতে উৎসাহ দিতেন। শুধু নারীদেরই নয়, পুরুষদেরও তিনি শিক্ষা দিতেন। আবু মুসা আশয়ারী (রা.) বলেন, ‘যখনই কোনো হাদিস নিয়ে আমাদের সমস্যা হতো, আয়েশা (রা.)–কে জিজ্ঞেস করলে আমরা তার সমাধান পেয়ে যেতাম।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৩,৮৮৩)

আয়েশা (রা.)–র বর্ণিত হাদিসের সংখ্যা ২ হাজার ২১০টি।

Related articles

Recent articles

spot_img