23 C
New York

বিজেপি আবার ৩০০ আসন পেলে ভারত হবে ভিন্ন দেশ 

Published:

তিস্তা শেতলবাদ: আমরা বিজেপি শাসনামলে (২০১৪ থেকে ২০২৪) এর কাছাকাছি কিছু দেখিনি। ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা (১৯৭৫ সালের জুন থেকে ১৯৭৭ সালের মার্চ) জারি করেছিলেন এবং মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। তবে সেটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জারি হয়েছিল এবং এক ব্যক্তির ইচ্ছা-নিয়ন্ত্রিত সিদ্ধান্ত ছিল। অবশ্যই সেটি স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত। সেই তুলনায় ২০১৪ সালের পরের পর্বকে প্রায়ই ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’ বলে বর্ণনা করা হয়। এ সময় এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা অনেক বেশি উদ্বেগজনক।

প্রথমত, ভারতের (সাংবিধানিক রক্ষাকবচ) প্রতিষ্ঠানগুলোর পতন ঘটেছে। সংসদীয় গণতন্ত্রের মধ্যে যে ভারসাম্য ও কলকবজা রাখা হয়েছিল, যেগুলো ব্যবস্থাটিকে নিয়ন্ত্রণ করত, তা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। 

উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, যেভাবে সংসদ সদস্যদের বহিষ্কার করা হয়েছে, একাধিক বিল পাস করা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি বেছে বেছে বিলের অনুমোদন দিচ্ছেন বা তামিলনাড়ু, পাঞ্জাবের মতো বিরোধী দলশাসিত রাজ্যগুলোর বিল প্রত্যাখ্যান করছেন, যেভাবে রাহুল গান্ধী এবং মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার করা হলো তাতে স্পষ্ট, কোনো কিছু নিয়মনীতি সাপেক্ষে চলছে না। এ ছাড়া যেভাবে কিছু বিচারপতিকে (কলেজিয়াম দ্বারা প্রস্তাবিত) নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এবং অনেককে বিবেচনা করা হচ্ছে না বা তাঁরা যোগ্য (বিচারপতি) হলেও নিয়োগে বিলম্ব করা হচ্ছে, সেগুলোর দিকে তাকালেও একই চিত্র দেখা যাবে।

দ্বিতীয় বিপদ হিন্দুত্ববাদ। হিন্দুত্ববাদ ভারতের রাষ্ট্র ও সামাজিক কাঠামো নির্মাণ করছে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) বলছে, তারা সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মাণে কাজ করছে। এখন সমস্যা হলো, যে সমাজ ও রাষ্ট্রের কথা তারা বলছে, সেটি একটি বিশেষ ধরনের আধিপত্যবাদী, ধর্মতান্ত্রিক, কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র। এমন রাষ্ট্রে সরকারি সম্পদ ব্যক্তিমালিকানায় চলে যায় অনায়াসে। এই কাজে তারা অনেকটাই সফল। ফলে দক্ষিণপন্থী অর্থনীতি ও দক্ষিণপন্থী সামাজিক-ধর্মীয় ও রাজনীতি ক্রমেই এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। এটা সমাজের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

Related articles

Recent articles

spot_img