মিয়ানমারে এখন যে যুদ্ধাবস্থা চলছে, তা কবে শেষ হবে জানি না। তবে শিগগির সেখানে সামরিক জান্তার পতন ঘটবে, মনে করেন না নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা। যে বৃহৎ প্রতিবেশী দেশটি মিয়ানমারে সেনা নেতৃত্ব টিকিয়ে রেখেছে, তারা সেটা হতে দেবে না। বাংলাদেশের উদ্বেগের কারণ হলো, নেতারা যত আশার বাণীই শোনান না কেন, সাড়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা যে বাংলাদেশে আছে, তাদের ফেরত পাঠানো আরও অনিশ্চিত ও কঠিন হলো।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কথা বলেছেন। এর মধ্যে আছে ব্যাংকিং খাতের সর্বনাশ। বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার এবং নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালে আনতে না পারা। নির্বাচনের কয়েক দিন পরই চালের দাম কেন কেজিতে ৬ থেকে ১০ টাকা বেড়ে গেল, কেন পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না—এসব প্রশ্নের জবাব নেই।
কোনো পণ্যের দাম বাড়লেই মন্ত্রী–সচিবেরা বৈঠক করেন, শীর্ষ মহল থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়, কিন্তু সেই নির্দেশনাগুলো কার্যকর হলো কি না, সেটা তদারক করা হয় না। অতীতে সরকারের অনেক মন্ত্রীও দাম বাড়ার পেছনে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি, সিন্ডিকেট ইত্যাদির কথা বলেছেন। নতুন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম ওরফে টিটু অবশ্য সিন্ডিকেট শব্দটি ব্যবহার করতে চান না।
তিনি বলেছেন, বিগ ফিশ। পুকুরে বিগ ফিশ থাকলে যেমন ছোট মাছগুলো খেয়ে ফেলে, ব্যবসা–বাণিজ্যের নামে কতিপয় ব্যক্তি জনসাধারণের পকেট কাটছেন। প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য হচ্ছে, কথিত বিগ ফিশেরা জলে, স্থলে, অন্তরিক্ষে সবকিছু হজম করে ফেলছেন। তাঁরা যদি বুঝতে পারেন সরকার কোনো পণ্যের শুল্ক কমাবে, আগেই দাম বাড়িয়ে দেবেন। অনেকটা শপিং মলের মূল্য হ্রাসের মতো।