20.6 C
New York

পানি নামতেই ভেসে উঠল বনের ক্ষত

Published:

এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর শনিবার বিকেলেই বাঁধ কাটার কাজ শুরু করে বন বিভাগ। সন্ধ্যায় বাঁধের মাঝবরাবর কেটে দিলে পানিপ্রবাহ শুরু হয়। আর রাত সাড়ে নয়টার মধ্যে বাঁধটি পুরোপুরি অপসারণ করা হয়। এরপর মধ্যরাতেই কৃত্রিম হ্রদের পানি নেমে যায়। তা ছড়া-খাল ও লোকালয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে।

গতকাল সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, কৃত্রিম হ্রদের ভেতরে এখনো কিছু কিছু অংশে পানি জমে রয়েছে। স্থানীয় লোকজন এই পানিতে জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন। তবে যেখান থেকে পানি নেমে গেছে, সেখানে বন ধ্বংসের চিত্র উঠে এসেছে। পানিতে ডুবে থাকা গাছগুলোর মধ্যে প্রাণ নেই। মরা গাছগুলো মৃত ডালপালা নিয়ে কোনো রকম দাঁড়িয়ে আছে। হ্রদের কারণে পানি জমে থাকায় পাহাড়গুলোর মাটি ধসে পড়েছে। চোখে পড়ল হ্রদের বিস্তৃতি বাড়ানোর জন্য পাহাড় কাটার দৃশ্যও।

এদিকে গতকালও বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বন বিভাগ বলছে, হ্রদ তৈরির কারণে গামারি, সেগুন, চিকরাশি, অর্জুনসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় প্রায় পাঁচ লাখ গাছ মারা গেছে। ডুবে যাওয়া জায়গার মধ্যে বন্য হাতির চলাচলের পথ ছিল। নানা প্রজাতির প্রাণী বাস করত সেখানে।

বাঁধ কেটে দেওয়ায় হ্রদের পানি নেমে গেছে। এখন সেখানে আবার বনায়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে বন বিভাগের। চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, চলতি অর্থবছরে বাজেটের স্বল্পতা রয়েছে। তবে আগামী অর্থবছরে হ্রদ এলাকায় বনায়ন করা হবে। আবার যাতে বন্য প্রাণীর আবাসস্থল গড়ে ওঠে এবং হাতি চলাচলের পথ সচল হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Related articles

Recent articles

spot_img