পাকিস্তানের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান ভাবা হয়ে থাকে সেনাবাহিনীকে। ৭৬ বছর আগে পাকিস্তান স্বাধীন হয়েছে। এর মধ্যে কার্যত অর্ধেক সময় দেশটিতে সেনা শাসন ছিল। এমনকি বেসামরিক শাসনামলে দেশটির পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতিতে সামরিক বাহিনীর সুস্পষ্ট প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ দেখা গেছে।
পারমাণবিক শক্তিসমৃদ্ধ দেশ পাকিস্তান। ১৯৯৮ সালে ভারতের পরপরই পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক হয়। তখন থেকেই পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের ‘অভিভাবক’ সামরিক বাহিনী।
নিয়মিত ও মজুত বাহিনী মিলিয়ে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সদস্য প্রায় ১৫ লাখ। ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের দশম বৃহত্তম সেনাবাহিনী পাকিস্তানের।
অবাক করা বিষয় হলো, পাকিস্তানে রাজনৈতিক নেতৃত্বের উত্থান-পতন অনেকাংশের সামরিক বাহিনীর ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করে। জেনারেলদের সমর্থনের ওপর ভরসা করেন রাজনৈতিক নেতারা। যদিও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বরাবরই নির্বাচনগুলোয় হস্তক্ষেপের অভিযোগ নাকচ করে এসেছে।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী শুধু আকারে বড়, তা নয়। দেশটিতে সবচেয়ে বেশি জমির একক মালিকানা সেনাবাহিনীর হাতে। স্পেশাল ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলিয়েশন কাউন্সিল নামে একটি পর্ষদে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা রয়েছেন। পাকিস্তানের অর্থনীতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ এটি। শুধু তা-ই নয়, পাকিস্তানজুড়ে বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠন, রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, দাতব্য সংগঠন পরিচালনায় অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের দাপট রয়েছে।