20.6 C
New York

পাকিস্তানে ইমরান খান ও সেনাপ্রধানের দ্বৈরথ চলবেই

Published:

যেহেতু দল হিসেবে পিটিআই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, ফলে তারা নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত আসন পাবে না। এ কথা সব দলের জন্যই প্রযোজ্য। এই আসনগুলো ছাড়া কোনো দলই সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। পিটিআইকে সংরক্ষিত আসন পেতে হলে ছোট কোনো দলের সঙ্গে জোট করতে হবে। সেদিক থেকে এক সদস্যের মজলিস ওয়াহদাত-ই-মুসলিমিন (এমডব্লিউএম) একটি বিকল্প হতে পারে। এই দলটি এসেছে খাইবার-পাখতুনখওয়া থেকে। এমডব্লিউএমের সঙ্গে জোট করলে পিটিআই তাদের (এমডব্লিউএমের) ব্যানারে নারী ও সংখ্যালঘুদের আসন পেতে পারে। কিন্তু এতেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। কারণ ক্ষমতায় যেতে হলে পিটিআইকে নিদেনপক্ষে ১৬৮টি আসন পেতে হবে। অন্য দলগুলো নিজেরা কিংবা মুনিরের চাপে খানের সঙ্গে জোটে যাবে না।

বর্তমান পরিস্থিতে সরকার গঠনে পিপিপির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তারা সিন্ধু ধরে রেখেছে, পাঞ্জাবেও আসনসংখ্যা বাড়িয়েছে। সন্দেহ নেই, মুনির পিএমএল (এন) এবং পিপিপিকে হাত মেলাতে আহ্বান জানাবেন। এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। এই নির্বাচনের আগে আমরা পিএমএল (এন) নেতা এবং নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফকে পিপলস ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (পিডিএম) সরকার গঠন করতে দেখেছি। সরকার গঠন নিয়ে দুই দলের মধ্যে কথা হচ্ছে। কিন্তু তাদের মধ্যে সমঝোতায় পৌঁছাও কঠিন হবে, কারণ দুই দলেরই নিজ নিজ স্বার্থ আছে। সম্ভবত, মুনির ও তাঁর কোটাভুক্ত জেনারেলরা পাকিস্তানের ‘বৃহত্তর স্বার্থে’ দুই দলকে আপস-মীমাংসা করতে বাধ্য করবে। পিএমএল (এন) ও পিপিপির জোট সরকার হয়তো নওয়াজ শরিফের চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যে খায়েশ তাতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। তারপরও পিএমএল (এন) জোরদার চেষ্টা চালিয়ে যাবে।

Related articles

Recent articles

spot_img