ডায়াবেটিস রোগীদের সাহ্রি না খেয়ে রোজা রাখার ব্যাপারে সতর্ক করেন চিকিৎসকেরা। যাঁদের ওজন বেশি, তাঁদের ইফতারের পর হালকা ব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়ে চিকিৎসকেরা বলেন, রক্তে শর্করার স্বল্পতা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ইফতারে ১–২টি খেজুর খেয়ে বিরতি দিয়ে পরে ফল, সবজির স্যুপ দিয়ে বাকি ইফতার করতে হবে। সাহ্রিতে আমিষযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। ইফতার থেকে সাহ্রি পর্যন্ত প্রচুর পানি পান করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে রোজা রাখার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন পরিচালক (এনসিডিসি) মোহাম্মদ রোবেদ আমিন বলেন, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগের বিষয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সরকার কয়েক বছর ধরে পদক্ষেপ নিচ্ছে। টাইপ–১ ডায়াবেটিসের জন্য ইনসুলিন জীবনদায়ী। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনা মূল্যে ইনসুলিন দেওয়া হয়।
বৈঠকের সঞ্চালক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও এসেডবির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন বলেন, রমজানের আগে নফল রোজা রেখে ডায়াবেটিস রোগীরা রোজার প্রস্তুতি নিতে পারেন। এতে বোঝা যাবে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আনিসুজ্জামান সিকদার বলেন, রক্তের শর্করা পরীক্ষা বিষয়ে মসজিদের ইমামদেরও ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।