20.6 C
New York

দ্রুত শুরু হোক ব্যাংক একীভূত করার কাজ

Published:

তবে গভর্নর এই আলোচনার সূত্রপাত করেছেন গত ডিসেম্বরে জারি করা ‘প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশন (পিসিএ)’ শীর্ষক নীতিমালার মাধ্যমে। ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০২৫ সালের মার্চ থেকে এই নীতিমালা কার্যকর হবে।

ওই নীতিমালা অনুযায়ী, মূলত পাঁচটি সূচকের ভিত্তিতে ব্যাংকগুলোর মান বা শ্রেণি নির্ধারণ করা হবে। সেগুলো হলো ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে মূলধন সংরক্ষণ (সিআরএআর), টিয়ার-১ ক্যাপিটাল রেশিও বা মূলধন অনুপাত, কমন ইক্যুইটি টিয়ার-১ (সিইটি১) রেশিও, নিট খেলাপি ঋণ এবং করপোরেট গভর্ন্যান্স বা সুশাসন। পাঁচ সূচকে লাগাতার পতন হলে সব শ্রেণির ব্যাংককে ‘অনিরাপদ’ ও ‘আর্থিকভাবে অস্বাস্থ্যকর বা দুর্বল’ হিসেবে চিহ্নিত করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরপর দুই ক্যাটাগরিতে অবনতি হলে সবচেয়ে ‘দুর্বল’ ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। দুর্বলতা কাটিয়ে ব্যাংকের মানোন্নয়নে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে কোনো ব্যাংককে একীভূত করার মতো পদক্ষেপ নিতে পারবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এই নীতিমালা অনুযায়ী, একীভূত হওয়ার

আর্থিক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ব্যাংক একীভূত করতে হলে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে এবং কাজ শুরু করতে হবে।

জানতে চাইলে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা খুবই সময়োপযোগী উদ্যোগ। এতে ব্যাংক খাতে অবস্থার উন্নতি হবে বলে মনে করি। তবে দুর্বল ব্যাংকের সঙ্গে ভালো ব্যাংক কীভাবে একীভূত করা হবে, এটা নিয়ে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার অপেক্ষায় আছি। নীতিমালা করা হলে এ নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবে ব্যাংকগুলো।’

Related articles

Recent articles

spot_img