কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্র জানায়, হাতীবান্ধা উপজেলায় ২৩ হাজার ৫২৭ হেক্টর আবাদযোগ্য জমি আছে। শুধু তিস্তার চরে ভুট্টার চাষ হয়েছে ১ হাজার ৮৯৭ হেক্টর জমিতে। এ ছাড়া গম ১৫ হেক্টর, আলু ১৫ হেক্টর, মরিচ ১০ হেক্টর, চিনাবাদাম ৭৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হচ্ছে। আর পাটগ্রাম উপজেলায় ২১ হাজার ২৬০ হেক্টর চাষযোগ্য আবাদি জমি রয়েছে। এবার উপজেলার দহগ্রাম তিস্তার চর ও জগতবেড় এবং জোংড়া ইউনিয়নের ধরলা নদীর চরাঞ্চলে ভুট্টা আবাদ হচ্ছে ৬৫ হেক্টর জমিতে। একই সঙ্গে গম ২৫ হেক্টর, আলু ১৫ হেক্টর, মিষ্টিকুমড়া ৮ হেক্টর জমিতে চাষ করা হচ্ছে।
দহগ্রামের চরের মহিমপাড়া গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান (৫৫) বলেন, তিস্তা নদী যখন ভাঙে, তখন ধু ধু বালু পড়ে ছিল। এতে এবারের শেষ বন্যায় ঘোলা পানিতে মাটি আসায় বালুতে পলিমাটি পড়ে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এই বালুচরের হাজার হাজার বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করা হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। এতে তাঁরা খুব খুশি। বন্যার ক্ষতি এবার পুষিয়ে যাবে।
কৃষক মইনুল ইসলাম (৬০) বলেন, তিস্তা নদী দীর্ঘদিন ধরে ভাঙছে। এবার পলি বেশি পড়েছে। সবাই বিভিন্ন ফসল আবাদ করেছে, খেতও ভালো হয়েছে।
পাটগ্রামের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবদুল গাফ্ফার ও হাতীবান্ধা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া বলেন, বর্ষার শেষ মৌসুমের বন্যায় নদীর চরগুলোতে বেশি পলিমাটি পড়েছে। এতে স্থানীয় কৃষকেরা সবাই চাষাবাদ করছেন। ফসলও বেশ ভালো হয়েছে। ফলনও ভালো হবে। তাঁরা অনুমান করছেন, এসব চরে উৎপাদিত ফসলের মূল্য সাড়ে ছয় কোটি টাকা হবে। উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে চরাঞ্চলে চাষাবাদে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।