লিটন অর্ধশতক পূর্ণ করেন ২৬ বলে। অষ্টম ওভারে শহীদুল ইসলামের বলে কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে ক্যাচ দিয়ে থামেন তিনি। ঠিক পরের বলেই এলবিডব্লিউ হন তাওহিদ হৃদয়ও। সে সময় কুমিল্লার রানের গতি ভালোই আটকায় চট্টগ্রাম। ৮-১২ ওভারের মধ্যে আসে ৩৯ রান, লিটন-হৃদয়ের পর ফেরেন ব্রুক গেস্টও।
জ্যাকস ও মঈন ঝড় তোলেন এরপর। প্রথম ২৫ বলে ৩৬ রান করা জ্যাকস অর্ধশতক পান ৩১ বলে। পরের ৫০ রান করতে তাঁর লাগে মাত্র ১৯ বল। মঈনও শুরুতে একটু সময় নেন, এরপর বাড়ান গতি। ইংলিশ অলরাউন্ডার ৫০ পূর্ণ করেন ২৩ বলে। জ্যাকস ও মঈনের অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫৩ বলেই ওঠে ১২৮ রান। শেষ ৩ ওভারেই দুজন তোলেন ৫৮ রান। জ্যাকস তাঁর ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে মারেন ১০টি ছক্কা, মঈন মারেন ৫টি।
কুমিল্লার ঝড়টা সবচেয়ে বেশি গেছে চট্টগ্রাম পেসার আল-আমিনের ওপর দিয়ে, ৪ ওভারেই তিনি দেন ৬৯ রান। বিপিএলে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের যেটি নতুন রেকর্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস: ২০ ওভারে ২৩৯/৩ (লিটন ৬০, জ্যাকস ১০৮*, হৃদয় ০, গেস্ট ১০, মঈন ৫৩*; নিহাদউজ্জামান ৪-১-২৭-০, আল-আমিন ৪-০-৬৯-০, বিলাল ৪-০-৪৪-০, শহীদুল ৪-০-৪৯-২, ক্যাম্ফার ২-০২৩-০, সৈকত ২-০-২৩-১)
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৬.৩ ওভারে ১৬৬ (ব্রাউন ৩৬, তানজিদ ৪১, ব্রুস ১১, শাহাদাত ১২, সৈকত ৩৬, ক্যাম্ফার ৫, শুভাগত ১৯, শহীদুল ২, নিহাদউজ্জামান ০*, আল-আমিন ০, বিলাল ০; মঈন ৩.৩-০-২৩-৪, তানভীর ৪-০-৫৩-০, ফোর্ড ২-০-২১-০, মোস্তাফিজুর ৩-০-৪৬-২, রিশাদ ৪-০-২২-৪)
ফল: কুমিল্লা ৭৩ রানে জয়ী