শিশির দত্ত বলেন, উজালা বুক সেন্টারে গল্প ও উপন্যাসের সমাহার ছিল। বিশেষ করে বিমল মিত্র, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিমল করসহ নানা সাহিত্যিকের বই পাওয়া যেত। অন্যদিকে কারেন্ট বুক সেন্টারে কবিতার বই, লিটল ম্যাগাজিন, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সম্পাদিত কণ্ঠস্বরসহ নানা প্রকাশনা পাওয়া যেত। এ ছাড়া ১৯৭৩-৭৪ সালের দিকে পিপলস বুক সেন্টারে কলকাতা থেকে আমদানি করা বইগুলো পাওয়া যাচ্ছিল।
‘কোনোমতে টিকে আছি’
১৯৫১ সালের কোনো একসময়ে চট্টগ্রাম নগরে মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়ের নিচে চালু হয় কারেন্ট বুক সেন্টার। বইপ্রেমী মোহাম্মদ আমিন তালুকদার গড়ে তুলেছিলেন বইপত্রের সেই সাম্রাজ্য। ১৯৬৭ সালের দিকে দোকানটি চলে যায় জলসা সিনেমা হলের পাশে। লিটল ম্যাগাজিন, দেশ-বিদেশের সাহিত্য, বিজ্ঞান, দর্শনসহ নানা রকমের বইপত্র পাওয়া যেত কারেন্ট বুক সেন্টারে। দোকানের সুনাম শহরজুড়ে।
বই কেনার পাশাপাশি এখানে আড্ডা দিতেন হুমায়ূন আহমেদ, হুমায়ুন আজাদ, আল মাহমুদ কিংবা কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেনের মতো ব্যক্তিরা। বিক্রিও ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু এখন সেই জৌলুশ নেই।
কারেন্ট বুক সেন্টারের বর্তমান অবস্থান কাজীর দেউড়ির ভিআইপি টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায়। গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সেখানে গিয়ে দেখা গেল, ছোটখাটো দোকানটিতে বসে আছেন প্রতিষ্ঠাতা আমিন তালুকদারের ছেলে মোহাম্মদ শফিক। চারটি তাকে সাজানো হরেক রকম বই। ইংরেজি সাহিত্য যেমন আছে তাকে, তেমনি আছে বাংলা সাহিত্যের নানা বই।