রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামানও সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন। তবে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মাহফুজ উন নবী এখনো কারাগারে। সামসুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, জেল থেকে মুক্ত হয়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রায় দিনই আদালতে মামলার কাজে বেশি সময় যাচ্ছে। নেতা-কর্মীদের জামিন ও তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হচ্ছে। এখন দল গোছানোর কাজে নেমে পড়েছেন।
লালমনিরহাটে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মামলার তদারকির দায়িত্বে থাকা আইনজীবী মহিউদ্দিন আহমেদ ও কে এম হুমায়ুন রেজা বলেন, এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে যাঁরা আটক হয়েছিলেন, তাঁরা সবাই জামিনে আছেন।
গাইবান্ধা বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ২৮ অক্টোবরের পরে জেলার অন্তত ৫০০ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হন। বর্তমানে ১০ জনের মতো কারাগারে আছেন। তবে জেলার শীর্ষ নেতাদের কেউ আর কারাগারে নেই। দিনাজপুরে ৩৭ মামলায় ৪৫০ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হন। এখনো জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেনসহ ৩৫ জনের মতো কারাগারে আছেন। তিনি ঢাকায় হওয়া নাশকতার একটি মামলার আসামি। এই মামলায় তাঁকে দিনাজপুর থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দিনাজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ বলেন, ‘দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ত্যাগ স্বীকার করেছেন। অনেক বাধাবিপত্তির পরেও আমরা টিকে আছি, টিকে থাকব।’
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন সংশ্লিষ্ট জেলার প্রতিনিধিরা]