গল্পের প্রথম পর্ব ওয়েস্ট ইন্ডিজে। অনূর্ধ্ব-১৫ দলের হয়ে ক্যারিবীয় সফরে দলে ঢুকেছিলেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে। আর দশজন পাকিস্তানি বাঁহাতি পেসারের মতো নেওয়াজও নিজেকে ভবিষ্যতের ওয়াসিম আকরাম ভাবতেন। সেটিই বদলে গেল সেই সফরে। একদিন অনুশীলনে স্পিনারের অ্যাকশনে বল করে গা গরম করছিলেন নেওয়াজ। কোচ নিশ্চয়ই কিছু একটা দেখেছিলেন। পরদিন ম্যাচে পাকিস্তানের পেসাররা মার খাচ্ছেন। ৬ ওভারে ৬০ করে ফেলেছে প্রতিপক্ষ। এরপর কী হলো, শুনুন নেওয়াজের মুখেই, ‘কোচ আমাকে লাঞ্চ ব্রেকে জিজ্ঞেস করলেন, “কাল তুমি নেটে স্পিন করছিলে। ম্যাচে করতে পারবে?” এরপর ওই ম্যাচে ১০ ওভার স্পিন বোলিং করে ২-৩ উইকেট নেই। ম্যাচও জিতে যাই। এর পর থেকেই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে খেলেছি।’
বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের সেই সফরের পর বেশ কয়েকবারই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছেন। যতবারই ক্যারিবীয় সফরে যান, নেওয়াজের মনে ফিরে আসে সেই স্মৃতি, ‘আমি একজন মিডিয়াম পেসার হিসেবে এসেছিলাম ওয়েস্ট ইন্ডিজে, ফিরলাম স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে। ভাবতেই অবাক লাগে।’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ঘটনা অবশ্য একেবারেই নতুন, তা নয়। পেস বোলার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে খেলা শুরু করে অনেকেই ব্যাটসম্যান হয়েছেন, স্পিনারও হয়েছেন। বাংলাদেশের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিকের গল্পটা তো হুবহু নেওয়াজের মতো। পাকিস্তান বলেই হয়তো নেওয়াজের গল্পটা একটু অন্য রকম, পাকিস্তানের বাচ্চাদের মনে শুধু ফাস্ট বোলিংই। সেখানে গলিতে গলিতে টেপ বল ক্রিকেট হয় আর টেপ বল ক্রিকেটে স্পিন চলে না।