প্রতিবছর ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ‘বিশ্ব ক্যানসার দিবস’ পালিত হয়।
আমাদের দেশে অনেকগুলো সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত মানের ক্যানসার চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসা সংযুক্ত হয়েছে। তবে আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে।
ক্যানসার সোসাইটিও যথেষ্ট কাজ করছে। ক্যানসার সোসাইটির একটি বড় উদ্যোগ হচ্ছে, গরিব রোগীদের জন্য রোগী কল্যাণ তহবিল। আমাদের মূলনীতি হচ্ছে চিকিৎসা না দিয়ে আমরা কাউকে ফিরিয়ে দেব না।
গ্রাম-শহর, নারী-পুরুষ, ধনী-দরিদ্র, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল—সব ক্ষেত্রে ক্যানসার চিকিৎসায় বৈষম্য আছে। বৈষম্য দূরীকরণে বিশেষ অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। ন্যাশনাল ক্যানসার কন্ট্রোল কাউন্সিলের অস্তিত্ব আছে শুধু কাগজ-কলমে।
ক্যানসার প্রতিরোধে আমাদের দেশে অনেক ওষুধ তৈরি হচ্ছে, যা খুবই মানসম্পন্ন।
ক্যানসার চিকিৎসায় অনেক ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। এগুলো সম্পর্কে নার্সদের জানতে হয়। তাই নার্সিং বিষয়টিকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ক্যানসার চিকিৎসার মান বাড়াতে তাদের ঠিকমতো প্রশিক্ষণ জরুরি।
ক্যানসার রোগীদের রেজিস্টার তৈরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারিভাবে চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু তা পূর্ণাঙ্গভাবে শেষ করা সম্ভব হয়নি। আমরা এটা শুরু করেছিলাম শ্রীপুর থানায়। স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় ডেমোগ্রাফিক সার্ভে করা হয়েছিল। তারপর করেছিলাম ময়মনসিংহে। নতুনদের বলব, ক্যানসার রেজিস্টার সম্পন্ন করুন।
সর্বোপরি আমি বলব, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে। খাদ্যাভ্যাসের জন্য আমরা বেশির ভাগ এসব রোগে ভুগে থাকি। সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, যাতে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। (অনলাইনে দেওয়া বক্তৃতা)