23 C
New York

কেমন চলছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা, গবেষণার ফলাফলে যা দেখা গেল

Published:

পরিমাণগত গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে পাওয়া যায়, প্রায় ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন, গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতি কার্যকর ছিল। যদিও এর বিপরীতে প্রায় ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন, এই পরীক্ষাপদ্ধতি ততটা কার্যকর ছিল না এবং বাদ বাকি ২৮ শতাংশ উত্তরদাতা এই প্রশ্নের উত্তরে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। অন্যদিকে প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী যদিও মনে করেন, আগের পরীক্ষাপদ্ধতির ব্যয়ভার বেশি ছিল, তথাপি উত্তরদাতাদের মধ্য থেকে প্রায় ৪৩ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন, আগের পরীক্ষাপদ্ধতি বেশি কার্যকর ছিল। কেন এ রকম মিশ্র অভিজ্ঞতা হলো, সেটির উত্তর পাওয়া যায় পরীক্ষার্থীদের করা সম্পূরক প্রশ্ন বিশেষ করে আবেদন ফি, পরীক্ষাকেন্দ্রের অভিজ্ঞতা, পরীক্ষার খরচ, প্রশ্নপত্রের মান, ভর্তিসংক্রান্ত অভিজ্ঞতা, এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইগ্রেশন ইত্যাদি বিষয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতা জানার মধ্য দিয়ে।

উত্তরদাতাদের মধ্য থেকে প্রায় ৬৯ শতাংশ মনে করেন, গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষা তাদের সময় বাঁচিয়েছে। তা ছাড়া ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন, এই পরীক্ষাপদ্ধতি তাঁদের খরচ কমিয়েছে। অন্যদিকে প্রায় কাছাকাছি (৩৮ শতাংশ) সংখ্যক শিক্ষার্থী মনে করেন, এই পরীক্ষাপদ্ধতির কারণে আপাতদৃষ্টে খুব বেশি খরচ কমেনি। গুণগত গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে আমরা দেখি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ও এমনটাই মনে করেন। তাঁর মতে, ‘যেসব অভিভাবক অনেক দূর থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছেন, তাঁদের অনেকের সঙ্গেই কথা বলেছি। তাঁরা মনে করেন, এই পরীক্ষাপদ্ধতি চালু করার কারণে তাঁদের খরচ ও দুর্ভোগ দুটোই দ্বিগুণ হয়ে গেছে।’ অন্যদিকে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন শিক্ষক এই মতামতের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন, ‘এই পরীক্ষাপদ্ধতি চালু হওয়ার কারণে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময় বেঁচে গেছে এবং অভিভাবকদের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে গেছে।’ যদিও ওই শিক্ষক মনে করেন, গুচ্ছ পদ্ধতি ত্রুটিযুক্ত রয়ে গেছে।

Related articles

Recent articles

spot_img