Home Defence কমছে পানি, বাড়ছে ভাঙন | প্রথম আলো

কমছে পানি, বাড়ছে ভাঙন | প্রথম আলো

by smbpapon22P

নবী হোসেন বলেন, ‘বছর বছর নদী ভাঙে, আর আমরাও বাড়িঘর সরাই। আর তো যাওয়ার জায়গা নাই। ভাঙন বন্ধ না করলে একসময় গ্রামই থাকত না।’

নদীভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের নয়াহালট, চানপুর, লক্ষ্মীপুর, সংবাদপুরসহ আরও কয়েকটি গ্রাম। নয়াহালট গ্রামের রহমত আলী বলেন, ‘নদীভাঙনে ঘরবাড়ি হারাচ্ছে অনেকে। নদী ভাঙতে ভাঙতে বসতভিটার কাছাকাছি চলে এসেছে। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ঘরটি রক্ষা করতে পারব না। ঘর গেলে কোথায় থাকব, এ নিয়ে চিন্তায় আছি।’

জামালগঞ্জের গজারিয়া গ্রামের উত্তর পাড়া জামে মসজিদের মোতোয়ালি মো. আসাদ মিয়া জানান, নদী ভাঙতে ভাঙতে মসজিদের দেয়ালের কাছাকাছি চলে এসেছে। গ্রামবাসী মিলে বাঁশের আড় দিয়ে কোনো রকমে আটকে রেখেছেন। দ্রুত উদ্যোগ না নিলে এবারই মসজিদ রক্ষা করা কঠিন হবে। গজারিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, গত কয়েক মাসের ভাঙনে তাঁর ওয়ার্ডের গজারিয়া, রামপুর, জামলাবাজ গ্রামের অনেকের বাড়িঘর এবং চলাচলের রাস্তা নদীতে বিলীন হয়েছে। গ্রাম থেকে নদী অনেক দূরে ছিল।

হঠাৎ এপারে ভাঙন শুরু হয়ে এখন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এখন এই ওয়ার্ডের ৩টি গ্রামসহ গজারিয়া বাজার হুমকির মুখে রয়েছে। এর সঙ্গে উপজেলার নূরপুর, রাজাপুর বাজার, সাচনা-মোমিনপুর সড়ক, তেলিয়া-শাহপুর সড়ক, রামনগর বাজার, ধর্মপাশা উপজেলার নূরপুর-বাবুপুর এলাকা সুরমা নদীর ভাঙনের হুমকিতে আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।

You may also like