মাসুদ একা নন, চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় তাঁর মতো আরও প্রায় ২৫ হাজার কৃষক এ বছর শর্ষে চাষ করেছেন। বছরের ব্যবধানে চট্টগ্রামে শর্ষের আবাদি জমির পরিমাণ পাঁচ গুণ বেড়েছে। এতে উৎপাদন দুই থেকে তিন গুণ বাড়বে বলে আশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এতে কৃষকেরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি স্থানীয় কৃষকের তৈরি শর্ষের তেলের দামও কিছুটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ফটিকছড়ির জাফরনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. সেলিম উদ্দিন এবার প্রায় ১৫ কানি জমিতে শর্ষে চাষ করছেন। গত রবি মৌসুমে একই জমিতে শর্ষের চাষ করে তিনি আড়াই লাখ টাকা আয় করেছিলেন। এবার আরও বেশি আয় হবে বলে জানালেন এ কৃষক। সেলিম বলেন, ‘শর্ষের চাষে মুনাফা বেশি, পরিশ্রম কম। এবার তিন লাখ টাকা পার হবে বলে আশা করছি।’
জানা গেছে, বছরের ১৫ অক্টোবর থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত রবি মৌসুম। এ মৌসুমে সাধারণত বোরো ধান, শীতকালীন সবজি, গম, ভুট্টাসহ বিভিন্ন তেল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন হয়। ১ লাখ ৫৭ হাজার ৩৫৮ হেক্টর জমিতে এসব চাষ করেন কৃষকেরা। চট্টগ্রামের প্রায় সব উপজেলায় শর্ষের চাষ হচ্ছে।
সাধারণত নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে বীজ বপন শুরু হয়, যা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলে। আর শর্ষে সংগ্রহ শুরু হয় ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে। শেষ হয় মার্চের মাঝামাঝিতে। এরপর শুরু হয় বিক্রির কার্যক্রম। তবে এ বছর বৃষ্টির কারণে দেরিতে বীজ রোপণ করতে হয়েছে কৃষকদের। এ কারণে ফসল সংগ্রহ শুরু হবে মার্চের প্রথম দিকে।
তবে পানির অভাবে মিরসরাই ও সীতাকুণ্ডের কৃষকেরা বিপাকে আছেন। মিরসরাইয়ের বাসিন্দা মো. আকবর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেচের অভাবে ফসল উৎপাদন করতে গিয়ে লোকসানে পড়তে হচ্ছে। আমরা অনেক বিপদে আছি। পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা করা হলে শর্ষের উৎপাদনও বাড়বে।’