আমি যেকোনো পরিচালকের সিনেমায় কাজ করার সময়, আমার কথা আমি বলতাম। কেউ শুনতেন, কেউ শুনতেন না। সংসদেও আমি আমার হৃদয়ের কথাগুলো বলব। আমার নির্বাচনী আসনের মানুষের পক্ষ থেকে যা যা আমি দেখেছি, যা যা আমাকে তাঁরা বলেছেন, সবই সংসদে তুলে ধরার চেষ্টা করব। অনেক বড় সমস্যা হচ্ছে, ধানমন্ডি–নিউমার্কেটের সমস্যা এক রকম, ট্রাফিক জ্যাম। ধানমন্ডি লেকের সংস্কারের একটা ব্যাপার আছে। মাঠগুলো আরও আধুনিক করা, স্মার্ট মাঠ করে তোলা সম্ভব। প্রচুর রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট আছে, এগুলোর সঠিক ব্যবহার দরকার। আবার হাজারীবাগের ওদিকের কিছু কাজ, রাস্তাঘাটের সমস্যা, পানির সমস্যা, জলাবদ্ধতা ইত্যাদি থেকে আপাতত যেগুলো সমাধান করা সম্ভব, তা করব। সুদূরপ্রসারী কাজের পরিকল্পনাও করতে হবে। এত দিন আমার ১৩–১৪ জনের একটা পরিবার ছিল। এখন প্রায় ২০ লাখ পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছি। তাদের সবার কথাবার্তা শুনে, তারপর বুঝে–জেনেই তো সামনের দিকে যেতে হবে। আমার ওখানে অনেক নেতা–কর্মী আছেন, যাঁরা আমাকে খুব সুন্দরভাবে মেনে নিয়েছেন। ওখানে ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস আছেন, তিনি আমার আরেক ভাই। তিনি ভাই ও বন্ধু—দুটোই। যেকোনো ভিড়ের মধ্যেও তিনি আমার হাতটা ধরে থাকতেন। আমি সব সময় চাই, তাঁর এই হাত যেন সব সময় আমার সঙ্গে থাকে। আমার ওখানে এমনও নেতা আছেন, যাঁরা ৪৫ বছর ধরে রাজনীতি করছেন, কেউ কেউ মনোনয়নপ্রাপ্য। তাঁদের সবাইকে বড় আপা যখন বলেছেন আমার জন্য কাজ করতে, তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তাঁদের সবাইকে নিয়ে এগোতে চাই। আমার শিল্পী বন্ধুরাও যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। অরুণা বিশ্বাস, রিয়াজ, তারিন, অপু বিশ্বাস, নিপুণ, সুইটি, সাবা, ভাবনা, সজল থেকে শুরু করে অনেকেই। ফেরদৌসী মজুমদার, রামেন্দু মজুমদার, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, হানিফ সংকেত, আফজাল হোসেন, সুবর্ণা মুস্তাফা, তুষার খান, আহসানুল হক মিনুসহ অনেকেই সহযোগিতা করেছেন। ভোটের সময় তাঁদের এই সমর্থন আমাকে সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছে। আগামীর পথটাও সবাই মিলে চলব ইনশা আল্লাহ।