মোস্তফা ইবনে মিরাজ বলেন, ‘সরকারি রেকর্ড ও ম্যাপে রাস্তা থাকার কথা জেনে রাস্তাটি উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করি। প্রথমে ভেবেছিলাম, জায়গা হয়তো কেউ ছাড়বে না। কিন্তু সবাই সায় দিল। এমনকি চাঁদা তুলে রাস্তা করতেও সবাই রাজি হয়ে গেল।’
৯ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে দেখা যায়, পশ্চিম রাউৎগাঁওয়ে ফসলি জমির বুক চিরে তিন-চার ফুট উঁচু রাস্তা। স্থানভেদে ১২ থেকে ১৫ ফুট চওড়া। খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে দুই পাশের জমি থেকে কাটা মাটি ফেলে রাস্তা করা হচ্ছে। রাস্তাটি স্থানীয় তামেশ্বর নদীর ওপর নির্মিত কালভার্টে ঠেকবে। কালভার্টের বিপরীত পাশে রাস্তার কিছু অংশে ইট বিছানো ও বাকিটা পাকা। আরও ২০০ মিটার হয়ে গেলে কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
রাসেল আফজাল চৌধুরী, জাহিদুল ইসলাম, মুরসালিন আরাফাত চৌধুরী, আনিসুল হকসহ কয়েকজন যুবক রাস্তা নির্মাণকাজ তদারকি করছিলেন। তাঁরা জানান, রাস্তাটি হলে রাউৎগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম রাউৎগাঁও, কালিজুরি, বনগাঁও, আব্দা ও সুতারকান্দি এবং টিলাগাঁও ইউনিয়নের কাজিরগাঁও, বেজাবন ও মোবারকপুর গ্রামের লোকজন উপকৃত হবেন। এসব এলাকার বেশ কিছু শিক্ষার্থী রাউৎগাঁও উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ এবং লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজে লেখাপড়া করে। শুষ্ক মৌসুমে ধান কাটার পর জমি দিয়ে তারা চলাচল করে। বর্ষায় বিকল্প রাস্তায় অনেক পথ ঘুরে চলাচল করতে হয়। এতে সময় গাড়িভাড়া বেশি লাগে। বর্ষায় এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হয়। এ ছাড়া শুষ্ক মৌসুমে সেচসুবিধা না থাকায় এখানকার অন্তত ১০০ একর জমিতে রবিশস্য ও বোরো ধানের আবাদ সম্ভব হয় না। রাস্তার সঙ্গে খাল হওয়ায় এই সংকটও কাটবে।