তবে তা নিয়ে আর্জেন্টিনার মানুষ খুব বেশি মাথা ঘামাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে না। ৩১ বছর বয়স্ক রেস্তোরাঁ কর্মী ক্রিস্টিয়ান রয়টার্সকে বলেন, ‘মিলেই হলেন আমাদের নতুন মানুষ। তিনি কিছুটা অপরিচিত। তাঁর নীতি কিছুটা ভয় জাগায়। কিন্তু পৃষ্ঠা ওলটানোর জন্য এখনই সবচেয়ে ভালো সময়।’
হাভিয়ের মিলেইর চ্যালেঞ্জ অনেক। সরকার কিংবা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে অর্থ নেই। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের একটি ঋণ নিয়ে রশি টানাটানি চলছে। মূল্যস্ফীতি ১৫০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। পুঁজি নিয়ন্ত্রণ কাজ করছে না।
আর্জেন্টিনার অনেক মানুষের কাছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ছিল ‘কম ক্ষতিকর’ একজনকে বেছে নেওয়া। হাভিয়ের মিলেইর অর্থনৈতিক দাওয়াই যে বেদনার কারণ হবে, সেটা তাঁরা জানেন। কিন্তু অর্থনীতির যে সংকটে মাসা এবং তাঁর পেরন–পন্থী পার্টি দেশকে নিমজ্জিত করেছে, তার প্রতিও রয়েছে তীব্র ক্ষোভ। আর্জেন্টিনা এখন ঋণে ডুবে আছে, বিদেশ থেকে নতুন ঋণ পাচ্ছে না।
মিলেই বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়। এসব তরুণ দেখেছেন তাঁদের দেশ এক সংকট থেকে আরেক সংকটে আরও বেশি তলিয়ে যাচ্ছে। ২০ বছর বয়সী আইরীন সোসা যেমনটা রয়টার্সকে বলছিলেন, ‘আমার মতো তরুণদের জন্য মিলেই হলেন ভবিষ্যৎ। আমাদের দেশে যা কিছু খারাপ ঘটেছে, তার সাথে ছিলেন মাসা।’
হাভিয়ের মিলেইয়ের জয় আর্জেন্টিনার রাজনৈতিক মানচিত্র ও অর্থনীতির চালচিত্র বদলে দিতে পারে। সাথে প্রভাবিত করতে পারে শস্য, লিথিয়াম ও হাইড্রোকার্বনের ব্যবসা–বাণিজ্য। তিনি চীন ও ব্রাজিলের সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, তিনি ‘কমিউনিস্টদের সাথে’ ওঠাবসা করতে চান না। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার পক্ষে তিনি।