বিকেলে একাডেমির মাঠের মূল মঞ্চে ছিল সমাপনী অনুষ্ঠান। একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান ও সংস্কৃতিসচিব খলিল আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা।
আলোচনার পরে ছিল পুরস্কার বিতরণী। সর্বাধিক মানসম্মত বইয়ের জন্য কথাপ্রকাশের প্রকাশক জসিম উদ্দিন চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার, মানসম্মত বই বিভাগে প্রথমা প্রকাশনের মনজুর আহমদের একুশ শতকে বাংলাদেশ: শিক্ষার রূপান্তর–এর জন্য মেরিনা ইয়াসমিন, মঈন আহমদের লেখা যাত্রাতিহাস: বাংলার যাত্রাশিল্পের আদিঅন্ত–এর জন্য ঐতিহ্যের প্রকাশক আরিফুর রহমান, আলমগীর সাত্তারের কিলো ফ্লাইট বইয়ের জন্য জার্নিম্যান
বুকসের পরিচালক নাজনীন হক মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার গ্রহণ করেন। এ ছাড়া সর্বাধিক মানসম্মত শিশুতোষ বইয়ের জন্য ময়ূরপঙ্খির প্রকাশক মিতিয়া ওসমান রোকনুজ্জামান খান স্মৃতি পুরস্কার নেন। এ ছাড়া প্যাভিলিয়ন ও স্টলের সাজসজ্জার জন্য কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছে অন্য প্রকাশ, নিমফিয়া পাবলিকেশন ও বেঙ্গল বুকস। অতিথিরা পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও পুরস্কারের অর্থ তুলে দেন।
আজ থেকে আর বেলা গড়ালে মেলায় যাওয়ার টান পড়বে না। হয়তো এক রকম শূন্যতার বোধ জাগবে মনে। মিলনমেলার মাঠ ছেয়ে যাবে বসন্তের ঝরাপাতায়।